Posts

Showing posts from June, 2019

কুকুরগুলো - সাকিব জিযান

Image
নদীর ধারে রাস্তার পাশে বড় গাছটা কাটা হচ্ছে। আগে ডাল পালা কাটা হবে। তারপর পুরো গাছটাকে কেটে গাছটির অহংকারি শির ভূপাতিত করবে মানুষ। একজন মানুষ আছে গাছটির উপরের বড় ডালে। আর দু'জন আছে গাছটির নিচে। বড় ডাল গুলো কাটা হলেই তাদের কাজ শুরু করবে তারা। আরেকটা প্রাণী ছিলো তাদের একটু অদূরেই। একটা কুকুর। কুকুরটার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই লোকগুলোর এই কাজে। তবে সমস্যাটা বাধল একটু পর। একটা বড় ডাল নিচে পরলো কুকুরটার পাশে। ঘেউঘেউ করে উঠলো কুকুরটাও। হয়তো এই ঘেউঘেউ করার পিছনে ছিলো একটা চাপা কান্না। কিন্তু তা মানুষগুলোর বোধগম্য না। একজন লোক ভয় পেয়ে উঠে কুকুরটার আচরণে। কামড়ে দিবে না তো আবার! হাতের কুড়ালটা ছুড়ে মারে কুকুরটার দিকে। কুকুরটারও ভাগ্য ভালো, একটা পায়ে সামান্য জখম হয়েছে শুধু। দৌড়ে পালিয়ে যায় গাছতলা থেকে। রাস্তার পাশে বড় বাড়িটার প্রাংগনে রাত কাটায় কুকুরটা। ওই বাড়িতে একটা ছেলে আছে, যে মাঝে সাঝে কুকুরটাকে তার ফেলনা খাবারটুকু দিত। আজ সন্ধ্যায় সেই বাড়ির সামনেই বসে আছে কুকুরটা। সেই ছেলেটা আজও এলো অনেক রাতে। কুকুরটার জখম সে দেখতে পেয়েছে। কিন্তু তাতে কি, এইরকম কতো জখম হয় রাস্তার কুকুর গুলোর। এমনেই সেরে...

ঘুম - সাকিব জিযান

Image
চোখটা খুলে দেখি সকাল ৬ টা ৪৭ মিনিট। তাড়াহুড়ো করে উঠে পড়ি বিছানা থেকে। গতকাল ৬ টা ৪০ মিনিটে উঠার পরও দেড়িতে কলেজে পৌছাই। আজ তাই তাড়াহুড়া করে কোন রকম শার্ট-প্যান্ট পরেই রওনা হই কলেজের উদ্দ্যেশ্যে। দ্বিতীয় বারের মতো ঘুম ভাঙলো বাসে বসে। প্রচুর ঘুম পাচ্ছিল। ভাগ্য ভালো আসাদগেটে পৌছে ঘুমটা ভাঙলো। তাড়াতাড়ি বাস থেকে নেমেই একরকম উড়ে উড়েই কলেজে পৌছালাম। ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি ক্লাস শুরু হবার ১০ মিনিট আগেই অদ্ভুতভাবে কলেজে পৌছে গেছি। ঘুমটা এখোনো প্রচন্ডরকম ক্লান্ত করে রেখেছে আমায়। কফি খাওয়া দরকার। হাতে সময় থাকায় কফি নিয়ে বসে পড়ি ক্যান্টিনের পাশের বেঞ্চ গুলোতে। ঝিমুচ্ছি আর কফি খাচ্ছি। তৃতীয়বারের মতো ঘুম ভাঙলো ক্যান্টিনে। উঠে দেখি কফিটা ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। তাড়াতাড়ি ঘড়িতে তাকাই। ৯টা বেজে ৩০ মিনিট। আমার মাথায় বাজ ভেঙ্গে পড়লো। দুটো ক্লাস মিস!! এমনিতেই আমাদের কলেজের নিয়ম-নীতি অনেক কড়া। এখন ক্লাসে গেলে তো চরম অপমানিত হবো। ক্যান্টিন হতে বাইরে এসে দেখি একজন শিক্ষক ঘুরাঘুরি করছেন। তাই দৌড়ে ঢুকে পড়লাম বাথরুমে। হঠাৎ বাথরুমের দরজায় টোকা। ঠক! ঠক! ঠক! ভ...

পদ্মা নদীর মাঝি -মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
পদ্মার এক মাঝি ও তার সমাজ কে নিয়ে গড়ে উঠে এই উপন্যাসের মূল কাহিনী। উপন্যাসের মূল নায়ক কুবের হলেও খলনায়ক কে তা স্পষ্ট নয়। সম্ভবত হোসেন মিয়াকেই খলনায়ক বানিয়েছেন লেখক।  এক অতি দরিদ্র সাধারণ মাঝি থেকে হোসেন মিয়া কিভাবে অনেক পয়সাওয়ালা হলেন তা এক অনন্য সাধারণ উপায়ে বর্ণনা করেছেন লেখক। একি সাথে পদ্মাপাড়ের মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেন হোসেন মিয়া এমনকি যেটা সম্ভব হয়নি জমিদার মেজকর্তার দ্বারাও। অন্যদিকে বসবাস অনুপযোগী ময়নাদ্বীপে আবাস তৈরির মতো অসম্ভব কাজও একমাত্র হোসেন মিয়ার দ্বারাই সম্ভব। কুবের কে নিয়ে কাহিনী এগিয়ে চললেও কুবের ছিল এই সবের নিরব দর্শক ও ভুক্তভোগী। আর দশটা সাধারণ মনুষের মতই তার জীবন।  ময়নাদ্বীপ হতে পালিয়ে আসা রাসুর কাহিনী পাঠককে ময়নাদ্বীপ সম্পর্কে আকৃষ্ট করবে আর একি সাথে পদ্মাপাড়ের মানুষের সুখ দুখের গল্পও অনেকটা নাড়া দিবে পাঠককে। আরো জানুন  এখানে । বইটি পড়তে চাইলে  Download ।

চোর - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়

Image
"চোরের অভিজ্ঞতা অতুলনীয়, হৃদয়ের বিবর্তন তাঁহাদের অসাধারণ।" অসাধারণ এই বাক্যটি দিয়েই পূরো গল্পটির সারসংক্ষেপ করা সম্ভব। একজন চোর ও যে ভালোবাসতে পারে, কবি হয়ে উঠতে পারে তা এই গল্প পড়লে অনুভব করা যায়। গল্পের মধু চুরি করে, কিন্তু শুধু হাত ফাকা হয়ে যাবার পর। তবুও ভালোবাসার মানুষের মুখের হাসি ফুটানোর জন্য অসুস্থ শরীরে নিয়েও সে চুরি করতে যায়। কিন্তু ফিরে এসে সে বুঝতে পারে যে তার নিজের ঘরেই চুরি হয়ে গেছে। তার ভালোবাসার মানুষ চুরি হয়েছে। তাই গল্পের শেষ লাইন টাও হয়েছে অনবদ্য "জগতে চোর নয় কে? সবাই চুরি করে।" গল্প টি পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন  download