Posts

Showing posts from December, 2019

শ্রাবনের ধারা - সাকিব জিযান

Image
বৃষ্টি পড়ছে। চার বছরের ছোট বাচ্চাটা পাঁচতলার উপরে বারান্দা হতে হাত বের করে রেখেছে। ইশ্‌ আরেকটু জোরে বৃষ্টি পড়লে তার পুরো হাতটাই ভিজে যেত। বৃষ্টি পড়ছে। ফুটওভার ব্রিজের উপর বসা বাচ্চাটা ভিজে একাকার। কোন দিকে গেলে খোকন কাকা মারবে। কারণ সে তো ভিক্ষা করতে বসেছে, খেলতে না। ইশ্‌ আরেকটু আস্তে যদি বৃষ্টি পড়ত!  বৃষ্টি পড়ছে। পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েটা নতুন ছাতা কিনেছে। যদি আরও কয়েক ঘন্টা এভাবে বৃষ্টি পড়ত, তবে সে ছাতা নিয়ে স্কুলে যেতে পারত। ইশ্‌ আরেকটু পরে যদি বৃষ্টি আসতো! বৃষ্টি পড়ছে। সামান্য দিন মুজুরের ছেলে আজ স্কুলে যাবে কিভাবে ভাবছে। তার তো আর রেইন কোর্ট নেই। ইশ্‌ বৃষ্টিটা যদি কাল রাতে আসতো! সারা রাত গরমে ঘুম হয় নি। বৃষ্টি পড়ছে। (অসমাপ্ত) 

যোদ্ধা - সাকিব জিযান

১. “ভাইজান একটু সরেন, ঝাড়ু দিমু।” “খাড়া বাদামডা বেইচ্চা লই।” শীতের রাত তিনটার সময় কোন এক অচেনা রেইল স্টেশনে চলছিলো কথপোকথনগুলো। ঝাড়ুদার কিশোরের সাথে তরুন বাদাম বিক্রেতার কথাবার্তা। একটু অবাক হয়েই থেমে থাকা রেইলের দরজায় দাঁড়িয়ে কান পেতে রাখে যোদ্ধা। “হপ্তায় একদিন ঝাড়ু দেস না, আর আইজকা মাঝ রাইতে ঝাড়ু দিবার আইছস? চান্দ আইজ কোন দিক দিয়া উঠলো?” ছেলেটা মুখের দুই পাটি দাঁত বের করে হাসলো। অদ্ভুত সুন্দর সেই হাসি। হাসি থামিয়ে ঝাড়ু দিতে দিতেই বলল, “আমি কি সাধে আইছি? কাইল বড়সাব আইব” “ক্যারা আইব? কোন দিক থিকা আইবো?” “তা জাইনা আমার লাভ আছে? আমার কাম ঝাড়ু দেয়া আমি ঝাড়ু দিতাছি।” আরো কয়েকজন লোক জড় হলো। কেউ বাদাম কিনতে কেউবা শুধুমাত্র হাওয়া খেতে। আর কনকনে ঠান্ডায় যোদ্ধা কেনো বসে আছে নিজেও জানে না। “কার থাইক্কা কাম নেস তুই? এত রাইতে কেডা তোরে দিলো এই কাম?” “রুবেল ভাইক চিনো? হেয় কাম দেয়, একেক দিন একেক কাম দেয়” “ত বেতন কত দেয়?” “আমাক বেশি দেয় না। খালি খাওন দেয় দুইবেলা আর প্রতিদিন আশি ট্যাকা দেয়।” দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যোদ্ধা দেখছিলো ঝাড়ু দেয়া। প্লাটফর্মের ময়লাগুলো ঝাড়ু দিয়ে নিচে রেইল লাইন...